3ded8445dd19b3cd50b914c30c8afd90 630
কোনো কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে ওই কারখানার শ্রমিকদের সমর্থনের হার ২০ শতাংশ প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে সরকার। যা আগে ৩০ শতাংশে ছিল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৮’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “ট্রেড ইউনিয়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যপদ হ্রাস করা হয়েছে।”
ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধনের আবেদন পাওয়ার ৫৫ দিনের মধ্যে সরকারকে নিবন্ধন দিতে হবে। আবেদন প্রত্যাখ্যান হলে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে আপিল করা যাবে।সংশোধিত আইন অনুযায়ী কারখানার শ্রমিকদের উৎসব ভাতা দেওয়া হবে।
নারী শ্রমিক প্রসূতি কল্যাণ সুবিধাসহ প্রসবের পরে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকতে পারবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
“কোনো কারখানায় ২৫ জন বা তার বেশি শ্রমিক থাকলে তাদের জন্য পানির ব্যবস্থাসহ খাবার কক্ষ রাখতে হবে, সেখানে বিশ্রামেরও ব্যবস্থা থাকতে হবে।”
শ্রমিকরা ইচ্ছা করলে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করে পরে, তবে তা উৎসব ছুটির সঙ্গে ভোগ করতে পারবেন। উৎসবের ছুটিতে কাজ করালে এক দিনের বিকল্প ছুটিসহ দুই দিনের ক্ষতিপূরণ মজুরি দিতে বাধ্য হবে।
তিনি জানান, অপ্রাপ্ত বয়স্ক শব্দটি শ্রম আইন থেকে বাদ দিয়ে কিশোর শব্দটি যোগ করা হয়েছে। আগে ১২ বছর বয়সী শিশুরা কারখানায় হালকা কাজের সুযোগ পেলেও,সংশোধিত আইন অনুযায়ী ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোররা হালকা কাজ করতে পারবে।
সংশোধিক শ্রম আইন পাস হলে খাবার ও বিশ্রামের সময় বাদে টানা দশ ঘণ্টার বেশি কোনো শ্রমিককে দিয়ে কাজ করানো যাবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বলপ্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোনো স্থানে আটক রাখা, শারীরিক আঘাত ও পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বা অন্য কোনো পন্থায় মালিককে কোনো কিছু মেনে নিতে বাধ্য করলে তা অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
শ্রমকিরা বেআইনি ধর্মঘটে গেলে অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। ধর্মঘট করতে আগে দুই তৃতীয়াংশ শ্রমিকের সমর্থনের প্রয়োজন থাকলেও বর্তমান সংশোধিত আইনে ৫১ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন থাকার কথা বলা হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
2020 topbanglanews24