1524494400
শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথিতে রোববার(২/৯/২০১৮) বঙ্গভবনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
জন্মঅষ্টতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, “ধর্ম মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখায়, মানবকল্যাণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। কোনো ধর্মই জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ বা সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে না।
“তাই ধর্মকে ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি/গোষ্ঠী যাতে সামাজিক শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে ও কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে তা সামাজিকভাবেই প্রতিহত করতে হবে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল ভাবনা।
“অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছেন আপন মহিমায়।”
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সুমহান ঐতিহ্য। আদিকাল থেকে দেশের হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও পারস্পরিক সহমর্মিতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এ ঐতিহ্য।
“বাংলাদেশের প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব পালিত হয় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর আনন্দ উল্লাসের সাথে। সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রতিটি উৎসব হয়ে উঠে সার্বজনীন। আর এভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমাদের অটুট সামাজিক বন্ধন।”
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন,সংগ্রামে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ এ দেশের মানুষের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছে। তাই যে কোনো মূল্যে সম্প্রীতির এই ঐতিহ্যকে অব্যাহত রাখতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে এ চেতনাকে কাজে লাগাতে হবে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃতবৃন্দসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।
আরো ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান,ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ মহারাজ সহ অনেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
2020 topbanglanews24