32654 3497 49917
মানুষ মুলত নিজেকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবে, নিজেদেরকে নিয়ে নয়! আমারা অনেক কিছু উন্নয়নের চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের নিয়ে আমার যদি সঠিক ভাবে সঠিক সিদ্বান্ত এখনি গ্রহণ না করি, তাহলে সময়ের সঠিক ব্যবহার হবে না, এক না এক দিন সফল হওয়ার জন্য আমাদের এক ইউনিটে পরিণত হতে হবে।
মানুষ শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবে! তা হলে এখন থেকে নিজের জন্য না ভেবে সুন্দরকরে নিজেদের জন্য ভাবার আয়োজন করুন। আর নিজেকে আরও সাবলিল,কোমল,মোলায়েম, হাসি-খুসি, সুখি ও স্মার্ট ভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করুন।
আমরা যদি হৃদয় থেকে হাসতে পারি তা হলে সে হাসি আমাদের বড় সম্পদে পরিণত হয়। সুন্দর করে হেসে সবার সঙ্গে কথা বলুন। জীবন উপভোগ অনুকূলে আসবে।
মহাবিশ্বের যে স্থানেই থাকুন না কেন, সব সময় প্রিয়জনদের ধন্যবাদ দিতে ভুলবেননা। গরীব,আসহায়,সফল অথবা বিফল ব্যাক্তি, সে যে হোক না কেন, উপকার করলে তা ছোট করে দেখবেন না। ছোট একটা উপকারও যদি করে আন্তরিকতার সাথে তাকে ধন্যবাদ দিন।ভাববেন ও বলবেন তাঁর সাহায্যের কারণে আপনার কাজটি করা অনেক সহজ হয়েছে।এভাবে বন্ধুতের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
একটি উদহরণ দেওয়া যাক, আপনি নিউমার্কেট থেকে গুলশান এক নম্বার যাবেন, আপনার খুব তাড়া, একটা মিটিং আছে, ঠিক সময়ে, কম খরছে কি ভাবে আপনি উপস্থিত হতে পারেন? এক জন রিক্সা চালেকের কাছে, সুন্দর, উজ্জল মুখে জানতে চাইলে তিনি আপনাকে দেখিয়ে দিবে পথ, এক জন না পারলে অন্য জন। আপনাকে দু জনকেই আন্তরিকতার সাথে ধন্যবাদ দিতে হবে, আপনাকে প্রথম জনই দ্বিতীয় জনকে খুঁজে পেতে কোননা কোন ভাবে প্রভাবিত করেছে। আপনাকে সেই সেবার জন্য মূল্য দিতে হয়নি, বাঙালি এখানে উদার (আমাদের মনে রাখা উচিৎ উদারের কাছাকাছি শব্দ উদর, উদর মানে পেট/ক্ষুধা) উন্নত বিশ্বে সেবার মূল্যই বেশী। সেবার মূল্য বেশী কেন দেখুন, যদি মিটিং টা হয় আপনার জীবন বদলে দেওয়ার, তা যদি কম খরছে সঠিক সময়ে একজন বিচক্ষণ লোকোর কারনে পেয়ে থাকেন, তা হলে তিনি কি আপনার কাছ থেকে অর্থনৈতিক আধিকার পেতে পারে না? সেবা পরম ধর্ম বঙ্গবন্ধু, লালন, নজরুল, রবিন্দ্রনাথ, জীবনান্দ ও বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উজ্জল জ্যোত্যিষময় ব্যক্তিরা কখনো সেবা মুল্যা গ্রহণ করেনি, এই শক্তিই বাঙালিকে আলোকিত প্রসান্তির জীবন উপহার দিবে।
সব সময় সফল মানুষের মন বড় থাকে।বন্ধু বা কলিগদের সঙ্গে বের হলে, নিজে খাবাবেন, অন্য খায়াতে চাইলে খুদা থাকলে না করবে না।
খাবার খাওয়ার সময়টা খুব সচেতন থাকা জরুরি না, তার পরেও অন্যের দৃষ্টিতে নিজের ব্যক্তিত্ব টিকেয়ে রাখতে ধীরে ধীরে খেতে হয় (এটাকে সহজ করে ভাবাতে, আপনি আত্ম-অভিনয় মনে করে, একটু পরিহাস ও করতে পারেন সামাজে অব্যবস্থার ভিন্ন প্রকাশের) , চামচ -কাটা চামুচ দিয়ে খাওয়ার খেতে না পারলে, বলবেন, আমি শিখে নিবো। শিখে নেওয়াই ভালো।
কোন জায়গায় কেমন পোশাক-সাজ হবে সে বিষটি নলেজে রাখা ভালো। আমাদের মনে রাখা উচিত এক জন আদর্শিক,আত্ম-সুশিক্ষত মানবের কাছে উন্নত পোষাকের কোন মূল্য থাকে না,তিনি আরাম, রুচিশীল ও মুল্যের ক্ষেত্রে সচেতন থাকেন ।সঠিক-কোমল,মোলয়েম, উন্নত মনন এবং রুচিশীল পোশাক দুটাই জরুরী। (এখানে উন্নত মনন ও রুচিশীল পোশাক লিখলে ভিন্ন অথ্যাৎ প্রকাশ করবে, তখন একটা আরেকটার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বুঝাবে। তাহলে শেখ সাদীর বিখ্যাত রচনাটির কোন মূল্য থাকবেন, চিন্তা করুণ, শেখ সাদী, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, সেক্সপিয়ার সহ মৌলিক শিল্পীদের লেখা,সেবা,চিন্তা,কাজ থেকে অন্যেরা বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ উপার্যণ করছে। গবেষকেরা বলেন তাঁরা তা জানতো, তাঁদের জীবনের জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল খুবি সামান্য, তাঁরা মুলত ভোগের থেকে উপভোগে বেশি আনন্দ পেতন, নিজের খাবার বিলিয়ে দিত অনাহারীর মুখে।)
মধ্যবিত্ত প্রথম পায়ের দিকে তাকায়, আপনার জুতা রুচিশীল না হলে আপনাকে অবমূল্যায়ন করবে, কারন মাধ্যবিত্ত সব সময় বৃত্তের ভিতরে সুখ খোজে, আউট আফ বক্স যা বাংলাতে খোলসের বাহিরে । বৃত্তের বাহিরে মধ্যবিত্ত চিন্তা করতে চাই না, সব সময় নিরাপত্তা চাই, নিরাপদ থাকার জন্য সকলেরি কাজ ও সেবা বিনাকাতরে বিলিয়ে দেওয়ার সুন্দর উজ্জল আবরণহীন হৃদয় আমাদের তৈরি করা উচিৎ । যে জুতা পরে হাঁটতে আরাম পাননা, তা কখনো পরবেন না। তাবে জুতা ক্রয়ের সময়, আরামের সাথে ফ্যাশন, ডিজাইন ও আপনার আর্থনৈতিক আবস্থা বিষয়টি খুব সধারণ ভাবে ভাববেন। দোকানে গেলে দোকানদারকে বলুলন আপনি কম বাজেটের ভিতরে কি ধরণের পণ্য-দ্রব্য চান। তাঁকে হেসে আন্তরিকতা দেখাতে পারলে সে আপনাকে ঠকাবে না।
বন্ধু, কলিগ, প্রিয় মানুষদের জন্মদিন এখন আর মনে রখতে হয়না, মেইল, ওয়েবসাইড গুলোতে এ তথ্য আগাম পাওয়ার ব্যবস্থা আপনি করে রাখতে পারেন,সামাজিক দাতব্য যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে তার প্রক্রিয়া করা আছে, প্রযুক্তি জ্ঞান আর্জনের জন্য আপানকে টেনিং অবশ্যই গ্রহণ হবে, তা না হলে আপনি পিছিয়ে যাবেন , এটা নি:সন্দহে আপনাকে অনুভব, জার্রাভূতি/কার্কভূতি, দেখুন অণুকে ভাঙ্গেলে সর্বশেষ অবিভাক্ত হলো, আরবিতে জার্রা, বাংলাতে ও ইংরেজিতে কার্ক,তার মানে আমাদের অনুভূতি থেকেও বাহির হতে হবে। আত্ম-বিশ্বাস আর্জন করে সঠিক প্রতিষ্ঠান খুঁজে কম খরছে বেশ কিছু দক্ষাতা ও কৌশল আত্মস্থ করতে হবে, তখন আপনার উপার্জন বর্তমানের থেকে অনেক বেড়ে যাবে। ডেটফু (www.datfu.com) এর পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে, সেবা মুল্যের কথা না ভেবে। গিফট না দিতে পারলে মেসেজ,ফোন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভালো দিক নিয়ে আলোচনা করুন, তার ভুল গুলো কৌশল জানিয়ে দিন।এ ভাবে বিশেষ দিনগুলোর আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিতে পারেন।
সময় গেলে সাধন হবেনা।তবে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করাতে হবে, নিজেকে সে দিনের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে, আমাদের মনে রাখা উচিৎ সুযোগ আসতে আনেক সময় যুগে পর যুগেও লেগে যেতে পারে,ধর্য্য রাখতে হবে।নিজেকে তৈরি করতে হবে। যে কাজটা যখন করতে হবে, ঠিক সেই সময়ে তখনি হবে, যখন আমরা সেই কাজটির তথ্য পূর্বে সংগ্রহ করে রাখবো। এবং পরিকল্পনা থাকতে হবে কাজের, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে নতুন ভাবে শুরু করতে, উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে কাজ শেষ করতে হবে। ভুল হলে মন খারাপ না করে, পরবর্তিতে যেন ভুল না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা উচিৎ।
মোটামুটি শিক্ষিত থেকে উচ্চশিক্ষি সবায় এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে। এর সঠিক ব্যবহার যেমন আমাদের জনপ্রিয়তা, ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে, তেমনি অপব্যবহারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তেও সময় লাগেনা। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে যথেষ্ট সচেতন থাকুন। আমাদের মনে রাখা উচিৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো যারা সৃজন করেছে, তাঁরা দাতব্য ও আত্মার সঠিক অনুভূতিগুলো সাবলিল ভাবে মোলয়েম ভাবে বন্ধুদের মাঝে প্রকাশের কথা ভেবেছে। এখন ট্রেড ওয়্যারের যুগে,গুজবের করনে তাঁরা মনোকষ্ট পচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলে অর্থের ও খ্যাতির জন্য করেনা, এমনকি বেচে থাকার জন্যও না। ভালোবাসার জায়গা থেকে সৃজনশীল নর-নারী কাজ, সেবা,সংসার করে যায়। আত্মবিশ্বাস অর্জন করার জন্য পড়তে হবে, কাজের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
জয় না এলেও কষ্ট পাওয়ার কি আছে।বেচে থাকাটা আনেব বড় সুযোগ। সুখ মানে অর্থবিত্ত,পদমর্যাদা, বিলাশীতা না। সফলতা মানে বন্ধুত্ব, আত্মসচেতনতা, ব্যক্তি-নিকট বিপরিত জন, নিকট আত্মার নিকট জন, নিকট আত্মিয়-স্বজন, বন্ধু, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, মহাবিশ্বে ও অন্যান সকল ক্ষেত্রে আপনার সুস্থ জীবন চর্চা।
সকল প্রশংসা নিরাকা সষ্টার জন্য, তিনি আমাদের সঠিক,সহজ, সরল পথ দেখাবেন। অর্থাৎ আপনাকে আপনার নিজ ধর্মের প্রতি আস্তা রাখতে হবে, সকল ধর্মের মানুষের সাথে সোহার্দ পূর্ণ্য আচার-ব্যবহার করতে হয়। যারা ধর্মে বিশ্বাস করেনা, তাদেও অধিকার থাকে সুস্থা ভাবে একটা দেশে বসবাস করার, মনে রাখবেন বিশ্বাসীরাই সুখি।
Pingback: নিঃসন্তান কেন তারকরা ! মাহিয়া, মাহি, তিশা, সুবর্ণা মুস্তাফা, তানভিন সুইটি, বন্যা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
2020 topbanglanews24