Screen Shot 2020 05 06 at 8.14.51 AM
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে ততই উঠে আসছে হচ্ছে প্রশ্নটা। করোনা আদতে অভিশাপ না আর্শীবাদ! কারণ, এর জেরে মানুষ ছাড়া আনন্দে রয়েছে বাকি সমস্ত পশুপাখি। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে বিভিন্ন জায়গার ছবি ও ভিডিও দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছে সবার। কোথাও রাস্তায় নেমে পায়চারি করছে পেঙ্গুইন তো কোথাও বাড়ির বাইরে ঘুরপাক খাচ্ছে হরিণ। কখন পেটভরতি খাবার খেয়ে পরমানন্দে নাক ডাকছে সিংহ তো কখনও ছানাপোনাদের নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ছে বাঘমামা! সমু্দ্র সৈকতে এসে খেলা করছে ডলফিন তো আকাশে ঝড় তুলছে পাখির দল। আশপাশের পরিবেশ থেকে নদীনালা পরিশুদ্ধ হয়েছে তারাও। আর এর ফলেই বিহারের গ্রাম থেকে খালি চোখে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। বিষয়টি শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি বলে দাবি করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। যা মেনে নিচ্ছেন ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের এক আধিকারিকও।সোমবার সকালেই প্রথম নিজেদের বাড়ি থেকে মাউন্ট এভারেস্টকে দেখতে পান বিহারের সীতামরি জেলার সিংহবাহিনী গ্রামের বাসিন্দারা। সাতসকালে এই দৃশ্য দেখার পরে প্রথম বিষয়টি কারোর বোধগম্য হচ্ছিল না। ওটা কী একে অপরকে জিজ্ঞাসা করছিল সবাই। তখন নিজেদের অতীতের স্মৃতি হাতড়ে বয়স্ক মানুষরা জানান ওঠা এভারেস্ট। এরপর ওই গ্রামের মুখিয়া রীতু জয়সোয়াল ছবি তুলে টুইটারে টুইট করেন।যা দেখে নেটিজেনদের কেউ কেউ জানতে চান, ওটা যে এভারেস্ট তার কী প্রমাণ আছে। এর উত্তরে রীতু লেখেন, তাঁর স্বামী বলেছেন যে তাঁদের ছোটবেলায় এভাবেই গ্রাম থেকে এভারেস্ট দেখা যেত। কিন্তু, আস্তে আস্তে পরিবেশ দূষিত হওয়ার ফলে তা আর দেখা যেত না। তাছাড়া সিংহবাহিনীর গ্রামের উত্তর-পূর্ব দিকে এভারেস্টের অবস্থান। এই ছবিটি সেই উত্তর-পূর্ব দিকেরই।তাঁর পোস্ট করার কিছুক্ষণ বাদেই একই ছবি টুইট করেন ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের আধিকারিক প্রভীন কাসওয়ান। ক্যাপশনে লেখেন, যখন বিহারের সিংহবাহিনী গ্রামের মানুষরা তাঁদের বাড়ি থেকেই এভারেস্টকে দেখতে পেলেন। তাঁরা বলছেন, এই ঘটনা কয়েক দশক পরে ঘটল।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
2020 topbanglanews24