সিকিম ও লাদাখ সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনা সমাবেশকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অনেকটা যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যেকোনো সময় দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। ২০১৭ সালের ডোকলাম পরিস্থিতির পর নতুন করে দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে দিনকে দিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, তাতে উভয়পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে না পারলে রণক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে প্যাংগং সো, গালওয়ান উপত্যকা তথা ভারত-চীনের মধ্যকার ৩ হাজার ৪৪৮ কিলোমিটারের নিয়ন্ত্রণরেখা। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, চীন লাদাখ সীমান্তে ক্রমেই যেমন আগ্রাসী হয়ে উঠছে, তেমনি ভারতও ‘সুচাগ্র মেদিনী’ ছেড়ে না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে রুখে দাঁড়িয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় সম্ভাব্য সংঘাত থামাতে দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বুধবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন ও ভারতকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি যে, সীমানা বিরোধ নিয়ে নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমরা সমঝোতা করতে চাই এবং আমেরিকা তা করতে সক্ষম। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, কোভিড-১৯ মহামারির জন্য চীনকে বার বার কঠাগড়ায় তুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ পাশাপাশি হংকংয়ে চীনা নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। এক্ষেত্রে বেইজিংয়ের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পরিকল্পনাও করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, করোনা সংকটের মধ্যে ভারত ও চীনের মধ্যে কোনো সংঘাত চাইছে না আমেরিকা। বরং এই মুহূর্তে এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখার পক্ষেই হোয়াইট হাউস। তার অংশ হিসেবেই উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা করতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
2020 topbanglanews24