কিডনি নষ্ট হওয়ার কারণ কী
কিডনি মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। পিঠের নিচের দিকে মেরুদণ্ডের দুই পাশে একটি করে দুটি শিম বিচির আকৃতির অঙ্গটিই কিডনি বা বৃক্ক, যার আকৃতি ৮ থেকে ১২ সেন্টিমিটারের মতো। প্রতিটি কিডনির ভিতরে লাখ লাখ কোষ থাকে, যা নেফ্রন নামে পরিচিত।
এই নেফ্রনগুলো শরীরের রক্ত ছেঁকে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বিপাকীয় আবর্জনাগুলো বের করে দেয়, তাই কিডনিকে আমাদের শরীরের পরিশুদ্ধির অঙ্গ বলা চলে।
কিডনি অকেজো হলে শরীরে দূষিত পদার্থ জমে যায়, ফলে নানান উপসর্গ দেখা দেয়, কিডনির কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ভয়ের কারণ রয়েছে, তবে চিকিৎসার মাধ্যমেও কিডনির রোগ নিরাময় করাও সম্ভব এবং কিছু পদক্ষেপ নিলে কিডনি রোগের প্রতিরোধ সম্ভব।
কিডনি নষ্ট হওয়া কে কিডনি ফেইলিউ/বিকল হওয়া বলে। কিডনি রোগের মধ্যে সবচেয়ে জটিলতম হলো দুটি কিডনি ফেইলিউর বা বিকল হওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া। এ রোগকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয় : ১. আকস্মিক বা একিউট কিডনি ফেইলিউর এবং ২. দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক কিডনি ফেইলিউর।
যে যে কারণে কিডনি ফেইলিউর রোগ হয় :
একিউট কিডনি বিকল/ ফেইলিউর হওয়ার কারণঃ
অতিরিক্ত ডায়রিয়া, বমি বা মাত্রাতিরিক্ত ঘামের মাধ্যমে শরীরে পানিশূন্যতা।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে,
বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে।
পাশাপাশি নেফ্রাইটিস বা জীবাণুজনিত ইনফেকশন, সেপটিক শক, ডেঙ্গু জ্বর, ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়া এবং গর্ভকালীন জটিলতায়ও আকস্মিক কিডনি রোগের কারণ।
ক্রনিক কিডনি রোগ/ ফেইলিউরের কারণঃ
অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘ দিন ডায়াবেটিস
উচ্চ রক্তচাপের জন্য।
ক্রনিক নেফ্রাইটিক সিনড্রমের।
ধূমপান
অতিরিক্ত ওজন/ মোটা হওয়া যার ফলেও কিডনি ফেইলিউর হতে পারে
ফ্যামেলি হিস্ট্রেরি/ বংশগত কারনে।
দীর্ঘদিন ধরে ব্যাথার ঔষধ সেবন করলে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
2020 topbanglanews24