করোনার সুযোগে আবারও প্রতারণার ফাঁদ পেতে মানুষকে সর্বস্বান্ত করছে গাইবান্ধার ‘জিনের বাদশা’ চক্র। নানা কৌশলে তারা বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির সিম সংগ্রহ করে প্রতারণা করছে বলে দাবি পুলিশের। এ চক্রের পেছনে থাকা লোকদের চিহ্নিত করতে না পারলে প্রতারকদের দৌরাত্ম্য থামবে না।
সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে ধর্মের দোহাই দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে জিনের বাদশা প্রতারক চক্র। করোনা মহামারির মধ্যেও কিশোরগঞ্জের বগাদিয়ার এক যুবকের দেড় লাখ টাকা ও ছয় ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয় গাইবান্ধার দুই প্রতারক। পরে দুজনই ধরা পড়েছে র্যাবের হাতে।প্রতারণার শিকার যুবক সোহাগ মিয়া অভিযোগ করেন র্যাবের কাছে।
কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের র্যাব-১৪ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম. শোভন খান বলেন, টাকা নেয়ার জন্য আসে, তখন আমরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলি।
এর আগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এ চক্রের জালে পড়ে শুধু টাকা আর স্বর্ণালঙ্কারই নয়, একসাথে মা-মেয়ের সম্ভ্রম পর্যন্ত লুটে নেয় তারা। চক্রটির শেকড় উপড়ে ফেলতে আশ্রয়দাতাদের চিহ্নিতের দাবি সচেতন মহলের।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এম এ মতিন মোল্লা বলেন, তাদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট যদি চেক করা হয় আর তালিকাগুলো উন্মোচন করা হয়, তাহলে কোনো কোনো নেতার সঙ্গে তাদের যোগসাজশ আছে সেটি বের হয়ে আসবে।
তবে পুলিশ বলছে, বেনামে সিম রেজিস্ট্রেশন করে একেক সময় একেক জায়গায় প্রতারণা ফাঁদ পাতে চক্রটি। গ্রেফতার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও একই কাজ করছে তারা বলে জানান গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, প্রতারণার মামলার ধারাটি দুর্বল, মামলা হলেও যার কারণে তারা জামিন পেয়ে যায়।
১৯৯১ সালে গোবিন্দগঞ্জের দরবস্ত ইউনিয়ন থেকে প্রথম জিনের বাদশা চক্রের উৎপত্তি হয়। এরপর উপজেলার তালুককানুপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশজুড়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করে তারা।
Pingback: ভুয়া উপ-সচিব গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
2020 topbanglanews24