image 22912
দীর্ঘ ১ মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ। কিন্তু আগের বছরগুলোর সঙ্গে কোনোই মিল নেই এ ঈদের। করোনা ভাইরাস মহামারির পটভূমিতে বদলে যাওয়া দুনিয়ার অন্য অনেক দেশের মতোই আমেরিকাজুড়েও জনজীবনের ওপর চলছে নানা রকম বিধিনিষেধ। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা বা বড় ধরণের গণজমায়েত না করা। সে কারণে এবারের ঈদে নিউ ইয়র্কে বড় রকমের কোনো ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। এছাড়া মহামারির ছোবলে গত দুই মাসে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রায় ২৫০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এখানকার মুসলমানদের মধ্যে উৎসবের তেমন কোনো আমেজ নেই। একটানা ৬০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা লকডাউনে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ সহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এমন অবস্থায় শিশুরা পরেছে বিপাকে। টানা গৃহবন্দি থেকে যেমন একঘেয়েমি চলে আসছে তেমনি খেলাধুলা করতে না পারায় শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাছাড়া উৎসব পার্বনে বড়দের তুলনায় ছোটদের আনন্দই বেশি। কিন্তু সমস্ত বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় শিশুদের মনেও ঈদ আনতে পারেনি আলাদা কোনো আকর্ষন। ঠিক এমন অবস্থায় হ্যামিলনের বাশিওয়ালার মত ঈদের দিন শিশুদের জন্য খেলনা নিয়ে নিউইয়র্কের কুইন্সের রাস্তায় হাজির হলেন বাংলাদেশি তরুন ট্রান্সফোটেক একাডেমির সিইও শেখ গালিব রহমান। ঈদের আনন্দ সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে নিজ অর্থায়নে খেলনা সামগ্রী কিনে দাঁড়িয়ে পরেন রাস্তায় এবং শিশুদের মধ্যে বিতরন করতে থাকেন। অপ্রত্যাশিতভাবে এমন উপহার পেয়ে হাসির ফোয়ারা ছুটেছে শিশুদের চোখেমুখে। আইটি এক্সপার্ট এই তরুনের উদ্যোগগে সাধুবাদ জানিয়েছেন আমেরিকান বাংলাদেশি কম্যুনিটির অধিবাসীরা। তাছাড়া লকডাউনে ঘরে বসে ঈদ পালন না করে শিশুদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শেখ রহমানকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা। এমন অভিনব উদ্যোগ কেন নিলেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেখ গালিব রহমান বলেন ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার মধ্যেই দীর্ঘ ১ মাস সিয়াম সাধনা স্বার্থকতা পায়। তাছাড়া আমার একটুখানি উদ্যোগ যদি শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে, বিবর্ন ঈদকে রঙিন করে দিতে পারে তাই আমার এই ক্ষূদ্র প্রয়াস। উল্লেখ্য শেখ রহমান করোনা দূর্গতদের সহায়তায় খাদ্যসামগ্রী বিতরন অব্যহত রেখেছেন। এবং তার প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফোটেক একাডেমির অফিস করোনা দূর্গতদের খাদ্যসামগ্রী বিতরন ও প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহারের জন্য মুসলিম এন্টারপ্রিওনিয়ার এসোসিয়েশন, কুইন্স মিউচুয়াল এইড নেটওয়ার্ক, ডিপ্লয়মিকে দিয়ে দিয়েছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
2020 topbanglanews24